নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গতকাল সোমবার (১৩ই মে) যশোরের তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত এর বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন বলে জানান আদালতের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অহিদুল ইসলাম শার্শা উপজেলার পশ্চিমকোটা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জয়নাল ফকিরের ছেলে। এই রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অহিদুল ইসলামের মা সাহিদা বেগম কে খালাস দেয় আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, নিজের নামে জমি লিখে দিতে অহিদুল তার বাবা জয়নাল ফকিরকে নানাভাবে হুম ধামকি কি দিচ্ছিলেন। এই কারণে ২০১৩ সালের ১৯শে মে সকাল বেলা অহিদুল ইসলাম তার বাবা কে স্থানীয় খালপাড় এর তিন রাস্তার মোড় এলাকা মারধর করেন। সেইদিন বিকাল বেলা বিষয়টির মীমাংসার জন্য জয়নাল ফকির তার ভাই আজগর আলী সহ প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন কে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন।
সেইখানে আলোচনার এক পর্যায়ে অহিদুল ইসলামের মা সাহিদা বেগম উত্তেজিত হয়ে সবাইকে গালিগালাজ করতে থাকেন।
এরই মধ্যে অহিদুল ইসলাম ঘরের বারান্দা থেকে শাবল এনে তার চাচা আজগর আলীর মাথায় আঘাত করেন।
এতে গুরুতর আহত আজগর আলীকে উদ্ধার করে যশোর সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন গভীর রাতে আজগর আলী মারা যান।
এই ঘটনায় অহিদুল ইসলাম ও তার মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে শার্শা থানায় মামলা করেন নিহত আজগর আলীর স্ত্রী ছকিনা খাতুন।