সর্বশেষ সংবাদ
Home / রাজনীতি / মানুষ প্রতিবাদ শুরু করেছে, ছলচাতুরিতে কাজ হবে না: ফখরুল

মানুষ প্রতিবাদ শুরু করেছে, ছলচাতুরিতে কাজ হবে না: ফখরুল

 

বর্তমান দেশবাংলা রিপোর্টঃ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার যতই ছলচাতুরি করুক না কেন, গণদাবির কাছে পদত্যাগ করতেই হবে। মানুষ যখন প্রতিবাদ শুরু করেছে এই প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত থাকবে।

রোববার (২৮ জুলাই) দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে সারাদেশে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে এবং হত্যা-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে তা অবিলম্বে বন্ধ করে পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

দলের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের ৯ হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও অনেককে রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাবেক এমপি, মন্ত্রীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের মতো ৫/৭ দিন করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে।

তাদেরকে নির্মমভাবে চোখ ও হাত-পা বেঁধে শারিরীক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের নিরন্তর চেষ্টা চলছে। তারা আদালতকে অবহিত করেছে, তারপরেও আদালত সরকারপ্রধানের ইশারায় তাদের রিমান্ড অব্যাহত রেখেছে। তাদের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত। তাদের ওপর চলমান নির্যাতনে অনাকাঙ্খিত কিছু হয়ে গেলে এর দায় সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে।

জেলখানার ভিতরেও নেতা-কর্মীদেরকে নির্মম নির্যাতনের মধ্যে রাখা হয়েছে যা অত্যন্ত অমানবিক এবং আইনের পরিপন্থী। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন মানবতা বিরোধী অপরাধ।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে, একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রী এবং কোটা সংস্কারের নেতাদেরকে নির্যাতন করা হবে না, অপরদিকে প্রতিনিয়ত সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা হয়েছে।

সাধারণ মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার এমনকি চাকরিজীবীরা পর্যন্ত এ ধরণের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালাচ্ছে অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যারা প্রকাশ্যে সাধারণ ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরঞ্চ তাদের নিয়ে সরকারপ্রধান মায়া কান্না করছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহতদের তালিকা প্রকাশ না করার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, বিভিন্ন সূত্রে ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি হত্যার সংখ্যা অনেক লম্বা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে দুস্কৃতিকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি স্থাপনাগুলোর বর্ণনা দেওয়া হলেও কোটা বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যুর তালিকা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।

মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই মৃত্যুর তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাছাড়া সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার বাণিজ্য অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি ও বিরোধী দলের সকল নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ এবং অবিলম্বে সকলের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ: হানিফ

  সদরুল আইন: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ...