মহাসড়কে দূরযাত্রার চালকরা যেন বিশ্রাম নিতে পারেন, সে জন্য সরকার তাদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্রামাগার করতে পারলে ড্রাইভাররা সেখানে বিশ্রাম নিতে পারবে। এতে তাদের ক্লান্তিভাব কেটে যাবে। এতে সড়কের দুর্ঘটনাও কমে যাবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যেসব কারণকে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছন তার একটি হলো, চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব। ক্লান্তিহীনভাবে চালকরা কাজ করতে করতে প্রায়ই গাড়ি চালানোর সময়ই ঘুমিয়ে পড়েন বলে নানা সময় দেখা গেছে। আবার প্রায়ই গাড়ি থামিয়ে সেখানেই ঘুমাতে হয় চালকদের।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা চালকদেরকে টানা কাজ থেকে বিরত থাকা এবং তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের তাগিদ দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই।
একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে দেখি হাইওয়ের (মহাসড়ক) পাশে বিশ্রামাগার আছে। যাত্রাপথের ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরই এই বিশ্রামাগার থাকে। তারা সেখানে ফ্রেস হতে পারে। বিশ্রাম নিতে পারে।’
‘আমাদের দেশের ড্রাইভারদের সে সুযোগ নেই। তারা রাতে রাস্তায় ঘুমায়। আমরা পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে বিশ্রামাগার করব। সেখানে ড্রাইভাররা রাতে ঘুমাতেও পারবে।’
‘যেটা এখন দেখা যায় ট্রাকের ড্রাইভাররা রাস্তায় ট্রাকের মধ্যেই ঘুমায়।’