সর্বশেষ সংবাদ
Home / জাতীয় / ‘ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না ইলিশ, রপ্তানি করা হবে’
Oplus_0

‘ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না ইলিশ, রপ্তানি করা হবে’

 

স্টাফ রিপোর্টার:

বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না, এটা রপ্তানি করা হবে এবং রপ্তানির টাকাটা বাংলাদেশ পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনো যায়নি। শুধু একটা সিন্ধান্ত হয়েছে। তার আগেই তো দাম বেড়ে গেছে। কাজেই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এ কথাটা ঠিক না।

তিনি আরও বলেন, যারা ইলিশটা চাচ্ছে, তারাও কিন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছে। সেটা আমরা সকলে দেখেছি। আমরা খুব কতগুলো সহজ কথা বলে ফেলি।

আমরা সব সময় মনে রাখতে হবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে অনেক বিষয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে। আমরা সেই আলোচনার ধারটা ছোট ছোট বিষয়ে বন্ধ হয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না।

নদী থেকে বালু উত্তোলন জাতীয় দস্যুতায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে পরিবেশ বন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যেখানেই নদীতে বালু আছে সেখানেই জেলা প্রশাসকরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালু মহাল ঘোষণা করে দেয়।

বালু মহাল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে তেমনি বিলুপ্তির ও সুযোগ আছে। বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদীর ড্রেজিং কি বালু ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে দিবো নাকি সরকারিভাবে ড্রেজিং করা হবে তা আমাদের ভাবার সময় এসেছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, মুছাপুর নদীর পাড়ে আসার কারণ হচ্ছে, সমস্যাটা সরকারের চশমা দিয়ে না দেখে মানুষের চোখ দিয়ে দেখার জন্য।মানুষ আর সরকার ভিন্ন সত্ত্বা হলে পরিবর্তন হবে না। মানুষকে আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। আমরা নদী তীরবর্তী এলাকায় এসে স্থানীয় মানুষের কথা শুনলাম। সরকারি হিসেব মতে প্রতিবছর নদী ভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়, যেটি বেসরকারি হিসেবে এক লাখের বেশি মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যায়।

লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর লাগবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব না। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুত গতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।

এখানে যে চর হয়েছে সেখানের বালু সরিয়ে দেয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীতে ক্যাপটেল ড্রেজিং এর পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। সরকারকে রেগুলেটর আর ড্রেজিং দুটোর কথাই ভাবতে হচ্ছে। সবচেয়ে কার্যকর কোনটি হবে তা আমরা ভেবে দেখবো। যেটি কার্যকর হবে সেটিই আগে বাস্তবায়ন হবে।

এ সময় আরও ছিলেন-পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী প্রমূখ।

About shakhawat khan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ আজ : আলোচনায় সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ

  সদরুল আইন: অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ...