তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোন ব্যবহারে কমবেশি কিছু ভুল করেন সবাই। এতে ধীরে ধীরে কমতে থাকে স্মার্টফোনের আয়ু। দ্রুত ফোনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তবে নতুন ফোন কেনার পর থেকেই যদি একটু খেয়াল করেন এবং সঠিক ভাবে ব্যবহার করেন তাহলে ফোনটার আয়ু বাড়বে তো বটেই, তাছাড়া আপনাকে সেই ফোন নিয়ে বারবার মেকানিকের কাছে বা সার্ভিস সেন্টারে দৌড়াতে হবে না।
সফটওয়্যার আপডেট
মাস ছয়েক আগেই হয়তো আমাদের ফোনে সফটওয়্যার আপডেট এসে পৌঁছেছিল। কিন্তু আমরা গুরুত্ব দিইনি। সফটওয়্যার যথাসময়ে আপডেট না করলে সাইবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে যথাসময়ে ফোনের সেটিংসে গিয়ে সফটওয়্যার আপডেট করে নেওয়া উচিত।
নকল চার্জার ব্যবহার
অনেক সময় চার্জারের দাম বেশি হওয়ার ফলে আমরা অথোরাইজ়ড বা অনুমোদিত চার্জার এড়িয়ে চলি। বাজার থেকে একটা সস্তার চার্জার কিনে বসি, যা আখেরে ফোনের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই ধরনের আনঅথোরাইজ়ড চার্জার গুলি সব সময়ই এড়িয়ে চলা উচিত।
যে কোনো অ্যাপকে অনুমতি দেওয়া
অ্যাপ গুলোকে বিভিন্ন তথ্যের অনুমতি দেওয়ার আগেও আপনার একটু ভাবা উচিত। কোন অ্যাপকে আপনার সম্পর্কে কতটা জানতে পারবে, সেটা একমাত্র আপনিই ঠিক করতে পারেন। তাই অ্যাপ গুলোকে আপনার সম্পর্কিত তথ্য গুলো জানতে দেওয়ার আগে একটু সতর্ক হোন।
অনিয়মিত ডাটা ব্যাকআপ
ডাটা হারিয়ে গেলে আমাদের বিরাট মুশকিলে পড়তে হয়। নিয়মিত ডাটাব্যাক আপ করেন না অনেকেই। ফলে যে কোনো মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারেন। ফোন যদি হারিয়ে বা চুরি হয়ে যায় বা কোনো কারণে খারাপই হয়ে যায়, তাহলে সেই ডাটার কী অবস্থা হবে, বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। তাই, নির্দিষ্ট সময়ে ফোনের ডেটা ব্যাকআপ করুন।
ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ
ফোন দ্রুত খারাপ হয়ে যায় ওভার চার্জিংয়ের কারণে। ফোন বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে, বিশেষ করে তার ব্যাটারি বাঁচিয়ে রাখতে ডিভাইসটিকে যথাযথ চার্জ দিতে হবে। কোনো স্মার্টফোন ১০০ শতাংশ চার্জ দেওয়া উচিত নয়। আবার ১৫ শতাংশের নিচে ব্যাটারি নামতে শুরু করলেই তা চার্জে বসানো উচিত।