ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে নতুন ম্যানেজার কমলেশ সাইনি যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি সিরিয়াল ও আন্তর্জাতিক রুল ভঙ্গ করে পচনশীল পণ্যের সঙ্গে সাধারণ পণ্য এক করে বেনাপোল স্হল বন্দরে পাঠাচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ অবস্থায় বেনাপোল স্হল বন্দরের ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হয়েছে দ্রুত দুই দেশের কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ বসে বিষয়টি সুরাহার আহ্বান জানান এমদাদুল হক লতা।
বেনাপোল আমদানিকারক রাহাত ট্রেডার্সের মালিক জিয়াউর রহমান বলেন, পেট্রাপোল স্থল বন্দরের নতুন ম্যানেজার কমলেশ সাইনি আসার পর এই হয়রানি বেড়ে গেছে।
তার ভাষ্য মতে সারাদিন বিভিন্ন পণ্যের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি করলেও কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্যের ট্রাক পাঠানো হচ্ছে সন্ধ্যার পরে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যার পর এসব মালের শুল্কায়ন ও খালাস করেন না। এতেকরে আমদানিকারকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তিনি আরও বলেন।
যাহার ফলে আমরা কাঁচা মালামাল দিনের দিনে ডেলিভারি নিতে পারছি না। পরের দিন এসব মাল খালাস নিতে গেলে দেখা যায়, শতকরা ১০ ভাগ মাল পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছি।
বাধ্য হয়ে এসব মালামাল অন্যান্য বন্দরে চলে যাচ্ছে বলে জানান এই আমদানিকারক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ৩০ মার্চ ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার অনিল কুমার সিংহ স্বাক্ষরিত এক পত্র জারি করে, যেখানে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যানেজারকে পচনশীল পণ্য দ্রুত রপ্তানির বিষয়টিতে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে বলা হয়।
কারণ আর্টিকেল নম্বর ৭.৯ ডাব্লুউটিও ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী এ আদেশ দ্রুত কার্যকর করতে হবে। কিন্তু ওই আদেশও মানছে না ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কেনো এমনটি হচ্ছে জানতে চাইলে আমদানিকারক শহীদ বলেন, ভারতের ওপারের রপ্তানিকার রা আমাদেরকে জানিয়েছেন, ওপারের ক্লিয়ারিং এজেন্টরা দ্রুত মাল পাঠানোর জন্য কিছু বকশিস দিতে হতো। হঠাৎ করে সেটা বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজ করছেন। তবে এই অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বেনাপোল শুল্ক ভবন যুগ্ম কমিশনার মোঃ শাফায়েত হোসেন বলেন বেশ কিছুদিন ধরে বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে রপ্তানিকৃত ট্রাকের সিরিয়ালের নামে এক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।
পচনশীল পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে বিলম্ব হচ্ছে। এর ফলে বেনাপোল স্হল বন্দরে আগের তুলনায় আমদানি কমহয়ে গেছে। আমদানিকারকরা তাদের সুবিধার্থে অন্য বন্দরের দিকে চলে যাচ্ছে। ফলে বেনাপোল শুল্ক ভবনে রাজস্ব আদায়ও কমেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, বিষয় টি সমাধানের জন্য ইতি মধ্যে পেট্রাপোল বন্দর ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি ব্যবসায়ীদেরসমস্যার কথা জানিয়েছি।
অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পচনশীল পণ্যের ট্রাক সারাদিন ব্যাপী বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে, সে অনুযায়ী সিরিয়াল মেইনটেইন করার জন্য তাকে আমি অনুরোধ করেছি।