স্পোর্টস ডেস্ক : গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম, লন্ডনের কেনিংটন ওভাল। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসের দুই স্মরণীয় স্টেডিয়াম। এই দুই মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। প্রথমটা ২০০৭ সালে। আর পরের জয়টা এসেছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে। আবার ঘরের মাঠে ২০১১ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পেতে হয়েছিল। বিশ্বকাপের আজকের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের স্মৃতিকে তাই অম্লমধুরই বলা চলে।
মুম্বাইয়ের বিখ্যাত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের ম্যাচটা দুই দলের মধ্যে ২৫তম সাক্ষাৎ। আগের ২৪ ম্যাচের পরিসংখ্যানকে একপেশে বলা যায় খুব সহজে। এখন পর্যন্ত দুই দলের মুখোমুখি দেখায় প্রোটিয়ারা জয় পেয়েছে ১৮ ম্যাচে। বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ছয় ম্যাচে। যদিও বিশ্বকাপে দুই দলের জয়ের সংখ্যা সমানে সমান। ২০০৭ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ২০০৩ সালে ও ২০১১ সালে জয়ের হাসি হেসেছিল প্রোটিয়ারা।
যদিও সবশেষ ৪ ম্যাচের ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দুই দলের মুখোমুখি দ্বৈরথে ব্যাটে বলে অনেকটাই এগিয়ে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ রান ৩৬৯। বিপরীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩০। সর্বনিম্ন স্কোর দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৪। আর বাংলাদেশের ৭৮।
ব্যাট হাতে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান গ্রায়েম স্মিথের। সাবেক এই অধিনায়ক টাইগারদের প্রতিপক্ষ হয়ে করেছেন ৫৭২ রান। আর বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিয়েছেন ৪৯২ রান।
সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারেও এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগিসো রাবাদা বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়েছেন ১৯টি। এই তালিকায় আছেন সাকিবও। প্রটোয়াদের বিপক্ষে তার উইকেট ১৬টি।