ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে পদবঞ্চিতরা। সোমবার রাতে এসব কথা জানান পদবঞ্চিতরা। তাদের দাবি, এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।
বহিষ্কৃতদের একজন ও কারণ দর্শাতে বলা অন্য একজন সেদিনের হামলায় আহত হয়েছিলেন। তাই পদবঞ্চিতরা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
হামলার ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের শাস্তি দাবি ও হামলার শিকার নেত্রীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ চার নেতার কাছে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের উপর দু’দফা হামলা হয়েছে। মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় অনেক কেন্দ্রীয় নেতা জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের কিছুই করা হয়নি। অন্যদিকে জারিন দিয়া আহতও হলো, তাকে বহিষ্কারও করা হলো। এ রকমটা করবে বলেই আমরা ধারণা করেছিলাম।
এর আগে সোমবারই ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় সংগঠনটির পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জিয়া হল ছাত্রলীগ কর্মী সালমান সাদিককে। আর সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে- বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদুল কবির, কাজী সিয়াম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য জারিন দিয়াকে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ঘোষিত ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে সর্বশেষ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অবস্থানে থাকা অর্ধশত নেতা বাদ পড়েন। কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়।