শাহ আলম – টাঙ্গাইল প্রতিনিধি::
টাঙ্গাইলের ৬ উপজেলায় বন্যা কবলিত এলাকার মধ্যে ৩ টি উপজেলার ৭৬ টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকরা চরম হতাশায় মধ্যে রয়েছেন শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে ।
বন্যার পানি চলে গেলে দ্রুতই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১২ টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলা বন্যা কবলিত। এর মধ্যে ৩ টি উপজেলায় ৭৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কক্ষে ও প্রতিষ্ঠানের অঙিনায় পানি থাকায় পাঠদানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২৬টি, ভুয়াপুর উপজেলায় ১৪টি ও নাগরপুর উপজেলায় ৪ টি। এছাড়াও সদর উপজেলায় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি, বাসাইল উপজেলায় ৪টি, ভুঞাপুর উপজেলায় ৮টি ও কালিহাতী উপজেলায় ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নাগরপুর উপজেলার ৪৭ নং কাঁন্দাপাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের স্কুলের রুমের ভিতর পানি উঠেছে। তাই স্যার আমাদের স্কুলে যাইতে বারন করেছে। স্যার বলেছে- রুমের পানি শুকাইলে ক্লাশ শুরু করবে।
নাগরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, নাগরপুর উপজেলা ধলেশ্বরী ও যমুনা নদী ঘেঁষা। কিছু অংশ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এর মধ্যে ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুম পানিতে নিমজ্জিত। তবে উঁচু আঙ্গিনায় ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বিকল্প আর কোন ব্যবস্থা না থাকায় পাঠদান কিছুটা ব্যহৃত হচ্ছে । ইতোমধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে।
আশা করি কিছু দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে ফিরবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক জানান, সরকারি প্রাথমিক কার্যক্রম চলছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এ এম জহিরুল হায়াত জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই পাঠদান শুরু করা হবে।