সর্বশেষ সংবাদ
Home / সারাদেশ / ঢাকা বিভাগ / বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া, দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড ‘‘ছাত্রলীগের ইতিহাস,বাংলাদেশের ইতিহাস”

বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া, দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড ‘‘ছাত্রলীগের ইতিহাস,বাংলাদেশের ইতিহাস”

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলা দেশ ছাত্রলীগ। আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠার আগেই জাতির পিতা শিক্ষা শান্তি প্রগতির মানবীয় স্লোগান সামনে রেখে ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে গঠন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হলে, অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে হলে, মানবিক সমাজ গড়তে হলে,অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ক্যবদ্ধ ছাত্রসংগঠনের কোন বিকল্প নেই। তারুন্যের উচ্ছল প্রাণশক্তি, বাঁধভাঙ্গা সাহস , প্রলয়ংকারী অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করা, অফুরন্ত প্রানশক্তিতে ভরপুর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা যারা দেশকে ভালবেসে ,দেশের স্বার্থে যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সদা প্রস্তুত ও জাগ্রত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা কর্মী সদা জাগ্রত ও রাজপথে অতন্দ্র প্রহরী।

বঙ্গবন্ধু বলেছেন “ ্ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস “ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ৫২ ভাষা আন্দলনের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে ১৯৫৪ এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ১৯৫৮ এর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন,১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬এর ৬য় দফা নিয়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছড়িয়ে পড়া ও ৬ দফাকে বাঙ্গালির মুক্তির সনদ প্রতিষ্ঠা করা।

১৯৬৯সালে গনঅভ্যুস্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক বাহিনীদের পদত্যাগে বাধ্য করা,১৯৭০নির্বাচনে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা, মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসাবে দায়িত্বপালন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে বন্দীদশা থেকে মুক্তি প্রদানে ভুমিকা পালন করা, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনের অবসান ঘঠিয়ে সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক অধিকারে পর্দাপন করার অধিকারসহ প্রতিটি আন্দলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। ছাত্রলীগ মানেই গৌরব ও ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করা,ছাত্রলীগ মানেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ছাত্রলীগ মানেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, গনতান্ত্রিক মুল্যবোধ, মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা, ছাত্রলীগ মানে কৈশরের স্বপ্ন,শৈশবের ভালোবাসা, যৌবনের প্রেম।কোন অন্যায় কাজ যেমন টেন্ডারবাজি , চাঁদাবাজি, কমিটি বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, সিট বানিজ্য, ভর্তি বানিজ্য বলে কোন শব্দের সাথে ছাত্রলীগ কোন কালে পরিচিত ছিল না,ভবিষ্যতেও থাকবেনা এই প্রত্যাশা করি। সময়ের সাহসী সন্তানেরাই ছাত্রলীগ করে, ছাত্রলীগ হলো লড়াই সংগ্রামের পাঠশালা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ছাত্রলীগ মানেই ন্যায়ের পক্ষে স্বোচ্ছার,ছাত্রলীগ মানেই ছাত্র সমাজের ন্যায্য দাবির সাথে একাতœতা, ছাত্রলীগ মানেই রাজপথ থেকে মিছিল মিটিং, নবীনদের কাছে টানা, ছাত্রলীগ মানে অজানাকে জানা,জ্ঞানের গভীর সমুদ্রে পর্দাপন করা, ছাত্রলীগ মানেই নীতিবান আদর্শকে বুকে ধারন করে বেঁড়ে উঠা, ছাত্রলীগ মানেই নিয়মিত ছাত্রদের সংগঠন বিলাস অর্থ-বিত্ত, ক্ষমতা ব্যবহারের পথ কখনও ছাত্রলীগের পথ নয়।

১/১১ সময় দেশরত্ন শেখ হাসিনাসহ ছাত্র-শিক্ষক সবার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দুর্বার গন আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। যার ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব রাজবন্দি মুক্তিতে ২০০৮ সালে সুষ্ঠ নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক সরকারের অগ্রযাত্রা ঘঠেঁ। যুদ্বাপরাধীদের বিচারকালীন সময় ছাত্রলীগ রাজপথ পাহারা দিয়েছিল যাতে কোন অশুভ শক্তি কোন সমস্যার সৃষ্ঠি না করতে পারে, অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্বাপরাধীদের বিচার হয়। ১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্বে ছাত্রলীগের প্রায় ১৭ হাজার নেতা কর্মী শহীদ হন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।১৯৬৯সালে ছাত্রসমাজ যে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে, যা গণঅভ্যুস্থানে পরিনত হয়। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ছাত্রসমাজের পক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন, যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করে। শুধু ভালো কর্মী হলেই চলবেনা, ভালো ছাত্রও হতে হবে অর্থাৎ নেতা কর্মীদের মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। করোনার মহামারির সময়গুলোতে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে ছাত্রলীগ, রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপি ৪ লাখ ৬৮ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৬ লাখ ৪৭ হাজার মাস্ক বিতরণ, ভাসমান মানুষ, পথশিশুসহ প্রায় ৪ লাখ ৫৬ হাজার নিম্নবিত্তের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। চালু করা হয়েছে হ্যালো ছাত্রলীগ যার মাধ্যমে দেশব্যাপী ২ লাখ ৯২ হাজার মানুষ সহায়তা পেয়েছে। সারাদেশে অসহায় কৃষকদের মাঝে ১ লাখ ২৮ হাজার কেজি বীজ বিতরণ, প্রায় ২২ হাজার মানুষকে টেলিমেডিসিন সেবা, ৭৭ জনকে প্লাজমা,করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬০ জনকে দাফন করা,কৃষকের ৯৬ হাজার শতাংশ জমির ফসল কাটায় সহযোগিতা, ফ্রি সবজি বাজার চালু করে সবজি বিতরণসহ প্রভৃতি উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড করেছে ছাত্রলীগ। এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সৃষ্টিলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত সবসময় সাধাণ মানুষের পাশে ছিল ,আছে ,থাকবে। শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই ছাত্রলীগের প্রয়াত সব নেতা কর্মীকে, সাবেক ও বর্তমান সব নেতা কর্মীকে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও উন্নত রাস্ট্রে রুপান্তরের লক্ষে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা রাজপথে ভুমিকা রেখে চলেছে তাতে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে। সময়ের প্রয়োজনে সৃষ্টি হওয়া, সময়ের সাহসী সন্তানদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। পরিশেষে জাতির পিতার অবিস্মরনীয় বক্তৃতার একটি বাক্য লিখে শেষ করছি-“ বাংলার ইতিহাস ছাত্রলীগের কর্মীদের রক্তদিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।

লেখক: স্বরূপ রায় সহ-সম্পাদক,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

নরসিংদীর শিবপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ – ২০২৪ উদযাপিত

  মোঃএমরুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ নরসিংদীর শিবপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ – ২০২৪ পালন ...