সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের ১১০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসহায়ক উপকরণ বিতরণ উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় জেলা পুলিশের আয়োজনে শহরের অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল প্রাঙ্গণে কেক কাটা ও আলোচনা সভায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাফাতুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার এহসান শাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আবু সাঈদ, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ডিবির অফিসার ইনর্চাজ নন্দন কান্তি ধর, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হক, টিআই মো. হানিফ ও সার্কেল অফিসের ওসি মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, আজকের ঐদিনে (১৭ই মার্চ) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর জন্ম এই বাংলার মাটিতে হয়েছিল বলেই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর শোষন, নিপীড়ন আর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে।
তৎকালীন সাড়ে সাতকোটি মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে স্বাধীনতার জন্য, দেশ মাতৃকার টানে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশটিকে আলাদা ভ’খন্ড হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। ঐদিন ত্রিশলাখ শহীদ ও দু”লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকেই এই স্বাধীন স্বনির্ভর বাংলাদেশ। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট কিছু দেশবিদেশী ষড়যন্ত্র আর কিছু বিদপগামী সেনা অফিসার ও স্বাধীনতা বিরোধীরা জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাঁগ্রস্থ করে ইতিহাস বিকৃত করতে চেয়েছিল।
কিন্তু বাঙ্গালী জাতি, জাতির পিতার অবদানকে ধরে রেছে চলেছেন। আজ জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে তার সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দীর্ঘ ১৪ বছরের একটানা শাসনামলে দেশ আজ খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশের মানুষ আজ কেহ অবুক্ত নেই, মানুষের গড় মাথাপিচু আয় বেড়েছে, ক্রমক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইউক্রেইন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝে ও যখন বিশ্ব অর্থনীতি রীতিমতো সংকটে তখনো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক বেড়েছে।
কাজেই জাতির পিতার স্বপ্নঁ বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার অবস্থানে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা শিশুদেরকে খুব ভালবাসতেন, তাই আজকের শিশুরা আগামীদিনের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে১৫ই আগষ্ট স্বপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। তিনি আজ আমাদের মাঝে বেচেঁ না থাকলেও বাঙ্গালী জাতি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তিনি সবার হৃদয়ে বেচেঁ থাকবেন। আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন তা মানুষ বুঝতে পারছেন। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে। কাজেই এই দেশটি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, এই স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে এবং দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জাতির পিতা পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে অনেক স্বপ্নঁ দেখতেন, যে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সকল প্রকার অপরাধ নির্মল করে পুলিশ জনগনের বাহিনীতে পরিণত হবে। আজ তার স্বপ্নঁ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী জনগনের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।