বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় আমন ধান কাটার পর আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জমি প্রস্তুত, হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ বিভিন্ন কাজে দিনভর ব্যস্ত রয়েছেন তারা।
নন্দীগ্রাম কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে ধারণা করা হচ্ছে চলতি মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর চাষ হবে। উচ্চ ফলন প্রাপ্তির লক্ষ্যে কৃষকদের মধ্যে আলু ও সবজি চাষের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সহ উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ, সুষম মাত্রার রাসায়নিক ও জৈবসার প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, নন্দীগ্রাম সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জমির রোপা আমন ধান কাটার পর ফাঁকা হওয়া জমি ফেলে না রেখে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের আলুর আবাদ। আলু রোপণকে ঘিরে মাঠ জুড়ে কৃষকের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দ্বিগুণ লাভের আশায় মাঠে কেউ বা জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার, বীজ সংগ্রহ ও রোপণ করা নিয়ে নিজেদের মতো ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখান কার চাষিরা তাদের জমিতে চলতি মৌসুমে ডায়মন্ড, পাকরি, কাজললতা ও কার্ডিনালসহ নানা জাতের আলু রোপণ করছেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলার পৌতা গ্রামের কৃষক আকরাম আলী জানান, এ উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষে বেশি আগ্রহী। গতবার ধান কাটার পরেই আগাম আলু চাষ করে অর্ধেক লাভ হয়েছিল। এবারও ২০বিঘা জমিতে আগাম ডায়মন্ড জাতের আলু রোপন করেছি। আশা করছি ভালো ফলন ও দ্বিগুণ লাভ পাবো।
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক জানান, এই উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া আগাম আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। প্রতি বছর এ এলাকার কৃষক আগাম আলু চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করে থাকেন। দাম ভালো পাওয়ায় আলু আবাদে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। চাষিরা আলু চাষে যাতে কোনো সমস্যা বা কোনো ভাবে ক্ষতির শিকার না হন এজন্য আমাদের কৃষি অফিস থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আলু চাষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন ।