সর্বশেষ সংবাদ
Home / জাতীয় / প্রতিটি গ্রামকে সুন্দরভাবে সাজাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিটি গ্রামকে সুন্দরভাবে সাজাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের প্রতিটি গ্রামকে পরিকল্পিত ও সুন্দরভাবে সাজানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে সব গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে সাজাতে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি কমপ্লেক্স সংলগ্ন ‘জমি অধিগ্রহণ ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রকল্প উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল উপজেলা পর্যায়ে নয় ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি সব গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আবাদি জমি রক্ষার কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা মেয়র, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের ৫ জন চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকারি প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইটি) ৩৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ পরিকল্পনা’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীতে তার কার্যালয়ে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয়। এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান প্রকল্পটি উপস্থাপনা করেন।

দেশব্যাপী ৩৪৬৫ দশমিক ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে যে চলমান ‘জরুরি নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ চলছে, তার একটি অংশ হিসেবে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৮১টি মিউনিসিপ্যালিটিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পটির আওতায় সড়ক উন্নয়ন, সেতু, কালভার্ট ও ড্রেন নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ, খাল খনন, নদী তীর পুনর্নিমাণ, পুকুর/খাল/বিল সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন, বৃক্ষ রোপন এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের পাশে বাতি স্থাপন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌর এলাকায় এলজিইডি গৃহীত কিছু জরুরি উন্নয়ন কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থার প্রশংসাও করেছেন। এই উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে- শেখ রাসেল শিশুপার্ক (সম্পন্ন), টুঙ্গিপাড়া-পাটগাতি খালের সৌন্দর্যবর্ধন (সম্পন্ন), টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সের পুকুরগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন (সম্পন্ন), পাটগাতি কাঁচাবাজার (নির্মাণাধীন), টুঙ্গিপাড়া কাঁচাবাজার (সম্পন্ন) এবং প্রস্তাবিত বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ, গোরস্তানের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন, শেখ রাসেল শিশু পার্কের বিপরীত পার্শে টুঙ্গিপাড়া বাজার মসজিদের পুননির্মাণ (প্রস্তাবিত) এবং টুঙ্গিপাড়া নতুন বাসস্ট্যান্ড নির্মাণাধীন।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ আজ : আলোচনায় সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ

  সদরুল আইন: অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ...