মোঃ এমরুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী:
নরসিংদীর পাঁচদোনা বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকানে চোরাই পথে আসা ভারতের চিনি বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
দেশের উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে না তাতে সরকার হারাচ্ছেন রাজস্ব,দেশের বিভিন্ন চিনির কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শ্রমিকরা হচ্ছে বেকার।
জানা যায় অত্যন্ত নিম্নমানের মেয়াদ উত্তীর্ণ চিনি এ বাজারে বিক্রি করছেন একতা ষ্টোরের মালিক বিদ্যুৎ ,ননী সহ একাধিক ব্যবসায়ীরা।সংবাদকর্মীরা জানান, সরেজমিন গিয়ে তিনটি দোকানে একাধিক চিনির বস্তা পাওয়া যায় এবং গোডাউনে চিনি গুদামজাত রয়েছে এ খবর নিশ্চিত হন। বাজারে সাংবাদিক এসেছেন জেনে দোকানের শাটার লাগিয়ে তালা বদ্ধ করে চলে যায় দোকানের অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে বিসমিল্লাহ ষ্টোরের মালিক জানান, তারা বিদ্যুতের দোকান থেকে পাইকারি দরে চিনি খরিদ করে খুচরা দরে বিক্রি করেন। তাদের বাজারে ভারতের চিনির পাইকারি ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ , একতা ষ্টোর ও ননী। ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর জানান বিদ্যুৎ , একতা ষ্টোর ও ননী সরাসরি ট্রাক দিয়ে চিনি আমদানি করে গুদামজাত করে পরবর্তীতে পাইকারি দরে বিক্রি করেন। তারা পাইকারি মালিকদের নিকট থেকে খরিদ করে বাজারে খুচরা বিক্রি করেন।
তাছাড়াও আশপাশের বাজারগুলোতে যেমন আমদিয়া , মেহের পাড়া , শীলমান্দী , ভাটপাড়া , ঘোড়াশাল , চর্নগরদী সহ বিভিন্ন এলাকার বেকারী , মিষ্টির দোকানে পাইকারী হারে ভারতের চিনি রফতানি করছেন বিদ্যুৎ ও একতা ষ্টোর । এ ব্যাপারে পাঁচদোনা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নরসিংদী ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে জানান ভারতের চিনি চোরাই পথে আসে এ সংবাদ পাওয়ার পর তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছেন এবং জরিমানাও করেছেন। ভারতীয় চিনি অত্যন্ত নিম্নমানের বলে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে ডাক্তার ইকবাল হোসেন জানান ভারতীয় চিনি বেশীর ভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ।
এগুলো খাওয়ার পর আমশা , ডায়রিয়া , কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং শিশুরা মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্য হানিতে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাছাড়া এ চিনি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ ।