বিডি বাংলা ডেস্ক
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দণ্ডিত লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি নেতারা আজ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘লিডার ইজ কামিং’ শিরোনামে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দিয়েছে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তারেক জিয়া গতকাল ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তার দেশে ফেরার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তারেক জিয়া তাদের বলেছেন, সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর এই কারণেই তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
লন্ডনে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, তারেক জিয়া দেশে ফেরার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। যে কোনও সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন৷ তবে লন্ডনে পলাতক অর্থ পাচার মামলায় দণ্ডিত এই ব্যক্তির দেশে ফেরার গুঞ্জন এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার তিনি দেশে ফিরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে তখন আর তারেক দেশে ফেরেনি।
তারেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার মামলা রয়েছে এবং ২১ আগস্টের হামলা মামলায় তিনি আপিল পর্যন্ত করেননি। এ অবস্থায় তারেক জিয়া দেশে ফিরলে তিনি গ্রেপ্তার হবেন এবং তার দণ্ড কার্যকর শুরু হবে।
সরকার তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু নানা অসুস্থতার কথা বলে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করে সেখানে অবস্থান করছেন এই দণ্ডিত ব্যক্তি।
এখন তিনি দেশে ফিরতে চাইছেন। এটি একটি রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য এবং সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্যই তার দেশে ফেরার গুঞ্জন।
অনেকেই বলছেন, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া বাংলাদেশের বর্তমান নাশকতা তাণ্ডবের নীল নকশা প্রণয়ন করেছেন। তার নির্দেশেই এই ধরনের ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটছে। আর এ কারণেই তারেক জিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিশৃঙ্খল অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে এবং সরকার যদি একটি সংকটের মধ্যে নিপতিত হয় তাহলে তারেক জিয়া দেশে ফিরতে পারেন এবং সে কারণেই তার দেশে ফেরার গুঞ্জন তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু ক্ষমতালোভী এই ব্যক্তি তার মা যখন মুমূর্ষু তখনো দেশে ফেরার প্রয়োজন অনুভব করেনি। যখন তার ভাই মৃত্যুবরণ করে তখনো দেশে ফেরার প্রয়োজন মনে করেননি। এখন তারেক জিয়া দেশে ফেরার আওয়াজ দিচ্ছেন। এর ফলে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সাম্প্রতিক সংঘাত, সহিংসতা এবং নাশকতার মূল হোতা লন্ডনে পলাতক এই ব্যক্তিটি।
তার নির্দেশেই যে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে সেটি এখন মোটামুটি ভাবে প্রমাণিত। এ কারণেই তারেক জিয়ার দেশে ফেরার আওয়াজ রাজনীতিতে আরেকটি তামাশা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।