- মুকুল বসু, বোয়ালমারী প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর এক ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নির্ধারিত সময়ে পরিষদে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা মানছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও তিনি একসঙ্গে দুটি লাভজনক পদে থেকে উভয় প্রতিষ্ঠান থেকেই বেতন তোলেন বলে জানা গেছে।অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আব্দুল হক মৃধা। তিনি উপজেলার ময়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে ময়নার হাটখোলারচর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী (ক্বারী) পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।
আব্দুল হক মৃধা ওই মাদ্রাসায় ১২ হাজার ৫০০ টাকার স্কেলে সর্বসাকুল্যে ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা বেতন পান। গত মাসেও তিনি মাদ্রাসার মাসিক বেতনভাতা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা তুলছেন। কিন্তু নিয়ম অনুসারে একজন ব্যক্তি দুই স্থান থেকে সরকারি বেতন-ভাতা নিতে পারেন না।
সূত্রমতে, এমপিওভুক্ত কোনো মাদ্রাসা বা স্কুল, কলেজের শিক্ষক যদি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ইউনিয়ন পরিষদের এক জায়গা থেকে সরকারি বেতন-ভাতা নিতে পারবেন। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম লঙ্ঘন করে ময়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাটখোলারচর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হক মৃধা দুই জায়গা থেকেই সরকারি বেতন-ভাতা তুলছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ময়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাটখোলারচর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী (ক্বারী) আব্দুল হক মৃধা বলেন, ‘পরিপত্র আমি দেখিনি। তাছাড়া অনেকেই এরকমটা করছেন। জানতে চাইলে হাটখোলারচর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন,‘একজন ব্যক্তি একইসঙ্গে দুটি লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না-এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া অফিস টাইমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পরিষদে উপস্থিত থাকার সম্প্রতি জারিকৃত পরিপত্র সম্পর্কেও আমি অবগত ছিলাম না। বিষয়টি এখন জানলাম। এখন সুপার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে আমি বিষয়টি অবগত করবো। সরকারি নিয়মের বাইরে আমরা কেউ নই। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন,‘একজন ব্যক্তি দুই জায়গা থেকে বেতন-ভাতা তুলতে পারেন না। আমি এখানে নতুন এসেছি। এসব ব্যাপারে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।