বুধবার (২৮ শে আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদেরে প্রাণকেন্দ্রে দিগন্ত সড়ক এলাকায় দের কিলোমিট জুড়ে এমন অভিনব ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সড়কের দিগন্ত সড়ক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান,সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে আবু তারার বাঁধ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর, কাটাখালি, গোলখালি, সৈয়দ জাফর ও পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। দুরাবস্থার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙা ও খানাখন্দ থাকায় বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে।তাপরেও কিছু বিবেকহীন এলাকার বাসিন্দারা নতুন বাড়ির কাজের জন্য মাহিন্দ্রা (ট্রাক্টর) গাড়ির মাধ্যমে বহন করায় রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেনা। বরং তারা গোপনে গোপনে রাস্তাটি পাস করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। তাই তাদের সাথে না পেরে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি।
এসময় স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির,রাজ্জাক, আল আমিন মোল্লা বলেন,আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখেছি এই রাস্তা সংলগ্ন দুইটি স্কুল রয়েছে এবং এই পথে দৈনিক প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। গত ১৫ থেকে ১৬ বছরের এই সরকারের দুর্নীতির দুর্দশার কারনে রাস্তাটা কোন সংস্কার হচ্ছে না।
আরো বলেন, এর কারণ একটি কুচক্র মহল এলজিইডি জেলা উপজেলা, জেলা, ইউনিয়ন পরিষদ সহ সকল সকল স্তরের এ রাস্তাটিতে বরাদ্দ হয়। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ প্রতারক ভূমিদস্য এই রাস্তাটির টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করে আসছে। আমি আজকে সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকে তদন্তের মাধ্যমে বিচার করে ওই আত্মসতের টাকা দিয়ে পুনরায় রাস্তা সংস্কার করা হোক। তা না হলে যতদিন পর্যন্ত এ রাস্তা পুনরায় সংস্কার কারা নাহবে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছি।
এলজিইডি দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেনকে মুঠোফোন তিনি বলেন,অফিসে আসলে বিস্তারিত আপনাকে জানাতে পারবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাফিজা নাজ নিরাকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।