সর্বশেষ সংবাদ
Home / সারাদেশ / খুলনা বিভাগ / দখলমুক্ত হচ্ছে হোজির নদী

দখলমুক্ত হচ্ছে হোজির নদী

সৈয়দ ওবায়দুল হোসেনঃ বাগেরহাটে প্রবহমান হোজির নদী দখল করে মাছ চাষের জন্য ক্ষমতাসীনদের দেওয়া বাঁধ অপসারণ শুরু হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নিচে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে আট কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ছয় কিলোমিটার নদী দখলে নিয়ে মাছ চাষ করতেন স্থানীয় ২০ থেকে ২২ নেতা-কর্মী। বিভিন্ন গনমাধ্যমে এই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামের নেতৃত্বে হোজির ব্রীজের নিচের বাঁধ অপসারণ শুরু হয়।

এসময়, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদাউস আনছারি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, জেলা পুলিশের সদস্য, ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে এই নদীর সব বাঁধ ও নেটপাটা অপসারণ করা হবে। দীর্ঘদিন পরে নদীটি অবমুক্ত হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই নদীটিতে বাঁধ দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাছ চাষ করতেন। নদীর বাঁধ কাটায় আমাদের খুব ভাল হয়েছে। এখন নদী থেকে মাছ ধরতে পারব, নদীতে গোসল করতে পারব, নদীতে নৌকা চালাতে পারব। নিজেদের প্রয়োজনমত নদী ব্যবহার করতে পারব। তবে আবারও যেন নদীটি দখল না হয় সে জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬৪টি জেলায় অভ্যন্তরীণ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় খনন প্রকল্পের আওতায় ডেমা ইউনিয়নের হোজির নদীটি খনন করা হয়। ৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদীটির খননের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু দখলমুক্ত না হওয়ায় সরকারি  টাকার কোনো সুফল পাচ্ছিলেন না স্থানীয়রা।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখেছি হোজির নদীতে মাটির বাঁধ, পাটা ও নেট দিয়ে মাছচাষ হচ্ছিল। আমরা হোজির ব্রিজের নিচে দেওয়া বাঁধটি অপসারণ করেছি। এই নদীর অন্যান্য স্থানে যেসব বাঁধ, নেটপাটা রয়েছে, সেগুলোও অপসারণের কাজ চলছে।  ভবিষ্যতে কেউ যদি আবার দখল করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নে অবস্থিত সাড়ে ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হোজির নদীর ৬ কিলোমিটারে বাঁধ দিয়ে সমন্বিতভাবে মাছ চাষ করতেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী। ৩০ জুন থেকে ৩ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন গনমাধ্যমে হোজির নদী দখল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

ফুলের ঘ্রাণ পেতে : চাই ফুলের সান্নিধ্য

মাওলানা সাইফুল ইসলাম শিক্ষক : মাদরাসাতুল হিকমাহ ২৪ ফিট, রসূলবাগ , কদমতলী ...