সর্বশেষ সংবাদ
Home / আন্তর্জাতিক / তুরস্কে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের হামলা

তুরস্কে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের দক্ষিনাঞ্চলীয় প্রদেশ আদানার ইনকিলরিক শহরের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। আইএইচএইচ হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশন নামের একটি ইসলামিক সহায়তা সংস্থা রোববার এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে বিক্ষোভের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং পুলিশ টিয়ার শেল ও স্মোক বম্ব ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।

জবাবে বিক্ষোভকারীদেরকেও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, প্লাস্টিকের চেয়ার ও অন্যান্য জিনিস ছুড়তে দেখা গেছে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়াতে দেখা গেছে অনেককে। তবে কিছু সময় এই অবস্থা চলার পর তাদের সরিয়ে দিতে সক্ষাম হয়েছে পুলিশ।

রোববার আঙ্কারা সফরে এসেছিলেন মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি আঙ্কার পৌঁছানোর দুই ঘণ্টা আগে বিক্ষোভ হয় ইনকিলরিক ঘাঁটিতে।

ইনকিলরিকের এই ঘাঁটিটি থেকে মূলত সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আন্তর্জাতিক সংন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আইএসকে প্রতিহত করতে যে আন্তর্জাতিক জোট গঠিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক উভয়ই সেই জোটের সদস্য। মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি দল ২৪ ঘণ্টা এই ঘাঁটি এলাকায় অবস্থান করেন।

রোববারের বিক্ষোভের সংগঠক আইএইচএইচ হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বুলেন্ত ইয়িলদিরিম রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামাস ও ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে তুরস্কের জনগণ ক্ষুব্ধ এবং তারা চায় তুরস্ক থেকে সব মার্কিন সেনা বিদায় হোক।

বিক্ষোভের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ইয়িলদিরিমও। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতের সময় তাকে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করতে দেখা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চলানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৯ হাজার। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকাস অঞ্চলে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ যেভাবে পরিচালিত হয়

  স্টাফ রিপোর্টার: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। সেই গোয়েন্দা ...