সর্বশেষ সংবাদ
Home / অর্থনীতি ও বানিজ্য / ডলারের দরে অস্থিরতা: খোলা বাজারে কার্যকর হচ্ছে না

ডলারের দরে অস্থিরতা: খোলা বাজারে কার্যকর হচ্ছে না

 

বিডি বাংলা রিপোর্ট:

খোলাবাজারে ডলারের দরে অস্থিরতা চলছে। দর বেঁধে দিলেও নির্ধারিত দরে মিলছে না ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের ডলার বিক্রির রেটের সঙ্গে এক টাকা যোগ করতে পারবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো।

ব্যাংকগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে তারা নগদ ডলার বিক্রি করছে গড়ে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা হারে। সে হিসাবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ ডলার বিক্রি করতে পারবে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে। কিন্তু গতকাল সোমবার খোলা বাজারে ১২৩ টাকা ছাড়িয়েছে ডলারের দাম।

গত সপ্তাহের বুধবার খোলাবাজারে নগদ ডলার কেনাবেচা হয়েছিল ১১৭ থেকে ১২০ টাকায়। বৃহস্পতিবার এক দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম সাত টাকা বেড়ে ১২৫-এ গিয়ে দাঁড়ায়।

তার জেরে ডলারের দামের রাশ টেনে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের এক বৈঠকে দাম ঠিক করে দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে এক দিনে সাত টাকা বাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রলিং পেগ প্রচলনের মাধ্যমে ডলারের অফিশিয়াল দাম সাত টাকা বাড়ানোর জের ধরে এমনটা ঘটেছে।

তবে টাকার অবমূল্যায়নের পর যেখানে ব্যাংকে নগদ ডলারের দাম দুই টাকা বেড়েছে, সেখানে অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া যুক্তি গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, অতি সম্প্রতি নগদ ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে আগামী কিছু দিনের মধ্যে অন্তত কয়েক লাখ মানুষ হজসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাবেন। তাদের একটা বড় অংশই নগদ ডলার নিয়ে যাচ্ছেন।

এই সুযোগে খোলাবাজার লাগামহীন হয়ে পরেছে। অবশ্য এনডোর্স ছাড়া ডলার সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া ঠেকাতে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দিয়েছে।

চিঠিতে সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যয়যোগ্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ নির্ধারণ করে বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে এনডোর্স করিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।

অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ডলারের বাজার প্রায় ফ্রি করে দিতে চাইছি, তার মানে এ নয়, যে যেভাবে পারবে দাম বাড়িয়ে ডলার বিক্রি করবে।

আমাদের যে ক্রলিং পেগের মাধ্যমে ডলারের মধ্যবর্তী দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট এবং কারেন্সি বাস্কেট বিবেচনায় নিয়েই করা হয়েছে। আমাদের এখন নগদ ডলারের কোনো সংকট নেই, তাই অস্বাভাবিক দাম বাড়ারও কোনো কারণ নেই।’

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধের অপচেষ্টা: শিল্প উপদেষ্টা

  স্টাফ রিপোর্টার: দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা হচ্ছে ...