সর্বশেষ সংবাদ
Home / Uncategorized / টুং টাং শব্দে মুখোর চরফ্যাসন কামারশালা

টুং টাং শব্দে মুখোর চরফ্যাসন কামারশালা

 মোঃফাহিম, চরফ্যাসন(ভোলা)প্রতিনিধি:
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোলার চরফ্যাসনের কামার শিল্পীরা। চলছে হাঁপর টানা, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। হাতুড়ি পিটিয়ে কামার তৈরি করছেন চাপাতি, ছুরি, চাকু, দা, বঁটিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম।
টুং টাং শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি অত্যাবশ্যকীয়। সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এ উপকরণ তৈরি ও শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজে প্রয়োজন কামারদের। পশু কোরবানির দা, ছুরি ও চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামারপাড়ায় ঢুঁ-মারছেন। আবার কেউ কেউ পুরাতন সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানায় কার্মকার শিল্পীরা। বর্তমান অধুনিক যন্ত্রপাতির প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠে এ শিল্প। শান দেওয়া নতুন দা, বঁটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। দোকানের জ্বলন্ত আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম। চোখে মুখে প্রচন্ড ক্লান্তির ছাপ। তবুও থেমে নেই তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কাজের ব্যস্ততা।
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্রি খুব কম। সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের মুখে নেই কোনো উচ্ছাস, নেই প্রাণভরা হাসি। তারপরও আসন্ন কোরবানির ঈদের কথা মাথায় রেখে নতুন আশায় বুক বেঁধে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামার দোকানগুলো। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এমন কর্ম ব্যস্ততা। কিন্তু অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান সময়ে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লোহার জিনিসপত্র তৈরি করলেও তেমন কোন লাভ হয় না। অনেক সময় কয়লা একেবারেই পাওয়া যায় না। কি আর করব পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই হবে।
মহিউদ্দিন ও জামাল জানান, কিছু দিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে প্রয়োজন চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বটি ও ছুরি কিনতে। তবে গত বছরে এসব জিনিসের যে দাম ছিল তার চেয়ে এবারে দাম অনেকাংশে বেশি। বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। বঁটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

জামালপুরে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মোঃ  এমদাদুল হক সদর উপজেলা প্রতিনিধি জামালপুর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদবাদী ওলামা দলের ৪৬ ...