গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
গজারিয়ায় জামিনে বের হয়ে আসামিরা সীমানা সংক্রান্ত মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দিয়েছে বিবাদীরা। আগাম জামিন নিয়ে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে ডাক ঢোল পিটিয়ে নেচে গেয়ে নিজ গ্রামে আসেন আসামিরা। এ নিয়ে মামলার বাদী ও এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। নতুন করে থানায় জিডি হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট ২০২৪ ইং শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার সময় বাদী ইয়ানুর, পিতা আব্দুর রহমান কে তার নিজ বসতবাড়ির উঠানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আরিফ পিতা ইউসুফ , আলী হোসেন পিতা জালাল মিয়া সহ ১০-১২ জন আব্দুর রহমান কে এলোপাথালি ভাবে আঘাত করিলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পায়।
ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবারও বিবাদীগণ এলোপাথালী ভাবে ছেলে ইয়ানুর, সাব্বির হোসেন, আনোয়ার হোসেন কে মারধর করে।
বাদীর পিতা আব্দুর রহমানকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।
এরপর গুরুতর আহত হওয়া আব্দুর রহমানের ছেলে ইয়ানুর বাদী হয়ে গজারিয়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় চলে আসে। উক্ত আসামিরা আগাম জামিন নিয়ে তাদের দলবল নিয়ে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে ডাক ঢোল পিটিয়ে নেচে গেয়ে বাড়ির সামনে এসে চিৎকার করে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দেয় বলে থানায়
গত ২৭ আগস্ট ২৪ ইং আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ইয়ানুর হোসেন যাহার নাম্বার ৮২৪।
ঘটনার পর থেকে বাদী পক্ষের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, হুমকি দিয়েছেন কি-না জানি না, তবে তারা বাদ্য বাজনা বাজিয়ে ডাক ঢোল পিটিয়ে নেচে গেয়ে আসেন আসামিরা।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বাদীর মামলার ঘটনাস্থলে গেলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে প্রকৃত ঘটনার বিষয়টি জানার চেষ্টা করে।
এদিকে বিবাদী আরিফ ,আলী হোসেন দের বাড়িতে গেলে তাদের ঘরবাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী আমানুল্লাহ জানায় ঘটনার দিন সকালে আমি ঘরের মধ্যে নাস্তা খাইতে ছিলাম এমন অবস্থায় বাইরে মারামারির শব্দ শুনে বাহিরে আসলে দেখী প্রতিবেশী আব্দুর রহমানের মাথা দিয়ে ঘরিয়ে রক্ত পড়ছে। তাদের ঝগড়া থামাতে গেলে এক পর্যায়ে আমাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চলতি দায়িত্ব আক্তারুজ্জামান বলেছেন, ইয়ানুর হোসেনের জিডির ব্যাপারে পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত করার জন্য। সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।