আটক বিজিবি সদস্য ঝিনাইদহ জেলার কালিগজ্ঞ উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামের বিধান ঘোষের ছেলে।সে ২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির সদস্য বলে জানা গেছে।
স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, তারা চেকপোস্টে অবস্থান করছিল। ইমিগ্রেশন পুলিশ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশে বাধা দিয়ে তাকে ফেরত দেয়। এসময় প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে সন্দেহভাজন চলাফেরা দেখে স্থানীয় জনতা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার মোবাইল চেক করে।
প্রথমে সে কৃষক ও পরে ছাত্রদলের কর্মী পরিচয় দেয়। এসময় ফেসবুক ঘেটে দেখা যায় চলমান প্রেক্ষাপটে আ. লীগ সরকারের পক্ষে বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও আ. লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার ছবি তোলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে এসব ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে গা ঢাকা দিতে ভারতে যাচ্ছিলেন।
আটক বিজিবি সদস্য শাওন ঘোষ প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় বিজিবির কাছে জানায়, সে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছিলো।
পুলিশ ও জনতার কাছে সে আতঙ্কিত হয়ে ভুলভাল বলেছে। তবে ছুটি না নিয়ে কেন যাচ্ছে বা মোবাইলে বিতর্কিত এসব ছবি পোস্ট করা নিয়ে কোনো সদোত্তর দিতে পারেনি এ ই বিজিবি সদস্য।
বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মিজানুর রহমান জানান, জনতা তাকে ধরে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছে। তবে তার সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করেনি। সে অনিয়ম করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো।
তাকে বিজিবি ব্যাটালিয়নে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ফারুক জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল ভিসায় যাতায়াত স্বাভাবিক আছে। ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা যাচাই বাছাই করে খুব জরুরি হলে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অনেকে সীমান্ত ও ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে আশ্রয়ের জন্য পাল্লাচ্ছে। তবে যাতে কেউ পালাতে না পারে এজন্য ইমিগ্রেশনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সরকারের বিভিন্ন গোয়ন্দা সংস্থা সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে।