ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীসহ বিএনপি নেতারাও।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের সিনিয়র নেতারা আসলেও ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যাননি।
মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের নবনির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ১১টার দিকে ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতা আসলে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বিএনপি নেতাদের অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এদিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত ছাত্রদলের একাধিক প্রার্থী যুগান্তরকে বলেন, খোকন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর পরাজিত অনেক প্রার্থীকে ফোন করেছেন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক শ্যামল নির্বাচিত হওয়ার পরে পরাজিত কোনো প্রার্থীকে ফোন করেননি। সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানাতে কেউ কেউ ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই শীর্ষ নেতা শনিবার ছাত্রদলের প্রোগ্রাম ডাকলেও পরাজিত কোনো প্রার্থীকে জিয়াউর রহমানের মাজারে আসার জন্য ফোন করেননি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাজারে বসেও পরাজিত কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন এমন একজন বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি মাজারে গিয়ে সভাপতির সঙ্গে দেখা করে কোলাকুলি করেছি। কিছুক্ষণ পর সাধারণ সম্পাদককে দেখে তার দিকে হাত বাড়ালে তিনি আমাকে এড়িয়ে যান। বিষয়টি দুঃখজনক।
জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, আমরা এক গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম, মহাসচিব স্যার অন্য গেট দিয়ে প্রবেশ করে আগে পৌঁছেছেন। তিনি পৌঁছেছেন শুনেই আমরা তার কাছে চলে গিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা পরাজিত হয়েছেন তারা আমার ছোট ভাই, বন্ধু। নির্বাচনের পরে আমি সবাইকে ফোন করেছি। তবে কয়েকজনের ফোন বন্ধ পেয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।