গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ক্রয়কৃত জমি দখল নেওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অপচেষ্ঠা ও ভূল তথ্য প্রদান করে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বুজরুক বোয়ালিয়া (দুর্গাপুর)গ্রামে ক্রয়কৃত জমির মালিক মৃত সৈয়দ হামিদের পুত্র সৈয়দ আজম মিয়া তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন. বসতবাড়ী নির্মানের লক্ষে ১৯৯৪ ইং সালে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত্যু হাফিজার রহমানের পুত্র সুলতান মিয়ার নিকট থেকে পান্থাপাড়া মৌজার ২২৩/৬ খতিয়ানের ৪৩৭ খারিজ খতিয়ানে ৬৬১ দাগে ০৪ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু বিক্রেতা সুলতান মিয়া জমি দখল দিলেও সম্পুর্ণ জমি বুঝিয়ে না দিয়ে অংশ বিশেষ জমি তার মধ্যে রেখে নানা তাল বাহানা করে। এ নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা সহ স্থানীয় ভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কাল ক্ষেপন করায় সমাধান হয়নি। সর্বশেষ শান্তি শৃঙখলা রক্ষার্থে স্থানীয় কাউন্সিলর সহ এলাকাবাসী গত ৩ ফেব্রুয়ারী উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠক করে বিক্রেতা সুলতান মিয়ার নিকট থেকে বিক্রয়কৃত তার মধ্যে থাকা ওই অংশ বিশেষ জমি বুঝিয়ে দেয়।
আজম মিয়া আরও জানায়, জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর সুলতান মিয়া চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানায় একটি এজাহার দেয়, সেই সাথে সাংবাদিকদের নিকট ওই এজাহারের কপি প্রদান করে সংবাদ প্রকাশ করায়। সুলতান মিয়ার করা এজাহারের আমি ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ী ব্যাপক ভাংচুর করা সহ ঘরের আসবাবপত্র ও রক্ষিত নগদ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং সুলতান ও তার স্ত্রী ভাংচুরে বাঁধা দিতে গেলে আমি ও সন্ত্রাসীরা মহিলার শ্লীলতাহানী করে এবং বেধরক মারপিট করে চলে যায় মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা , বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
তিনি ওই দিনের প্রকৃত ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ আজম মিয়ার স্ত্রী শাহানুর বেগম, মেয়ে আশা মনি ও তিশা মমি সহ স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।