সারা দেশে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনার বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন আকারে এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া গণপিটুনিতে বাড্ডায় নিহত তাসলিমা বেগম রেণুসহ অন্যদের বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে গণপিটুনিতে রেণু নিহত হন। ওই ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ ছাড়া রিটে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে রেণুর পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিটে গণপিটুনিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে পৃথক আইন তৈরির নির্দেশনার পাশাপাশি গণপিটুনির হাত থেকে রেণুকে বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ ছাড়া গুজব সংক্রান্ত সব পোস্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলারও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার ও বাড্ডা থানার ওসিকে এ রিটে বিবাদী করা হয়।