বর্তমান দেশবাংলা ডেস্ক:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেনো? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরাও পাবে না, তাহলে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?
সেটা আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছেও। রাজাকারের নাতিপুতিরা সব কিছু পাবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা পাবে না। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে দিয়েছিলো বলেই না সবাই উচ্চ পদে আসীন।
রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন: এখন যারা লাফাচ্ছে তারা ১৫ বছর আগে বা ২০ বছর আগের বাংলাদেশ সম্পর্কেও বোধহয় জানে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কী ছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি, বোমাবাজি আর সেসনজট।
৫ বছর-৭ বছর সেসনজট। কোন সেমিস্টার সিস্টেম ছিলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি বিএ পাশ করে বিদেশে যেত, তাহলে তাকে আবার ইন্টারমিডিয়েট থেকে শুরু করতে হতো। এই কারিকুলাম চেঞ্জ করা থেকে শুরু করে সব কিছু কিন্তু আওয়ামী লীগ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন: রাষ্ট্র কিভাবে চলবে সে নীতিমালা আমাদের সংবিধানে দেওয়া আছে। যেখানে সংবিধানে বলা আছে অনগ্রসর যারা, তাদের রাজ্যের কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে দেওয়া হবে। তারা সংবিধানটা পড়ে দেখেছে কখনও? আর মুক্তিযুদ্ধে বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? মুক্তিযোদ্ধারা জীবনে কষ্ট করেছে।
জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বুধবার সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতার নথিতে সই এবং নবায়ন করেছে। এসবের বেশির ভাগই সমঝোতা স্মারক।
বৈঠকে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সমাপ্তিসহ সাতটি ঘোষণাপত্র সই করেছে।