সর্বশেষ সংবাদ
Home / রাজনীতি / কেন প্রয়োজন?

কেন প্রয়োজন?

শরীরের সঙ্গে অনিয়ম করলে বডি ডিটক্সিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। অনিয়ম মানে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া করা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বোঝায়। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে না চললে শরীরের যত্নের প্রয়োজন হয়। এর মানে হলো শরীর ডিটক্সিফিকেশন করতে হয়। বডি ডিটক্সিফিকেশন করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া। শরীরে ডিহাইড্রেটেড হতে না দেওয়া। তাহলে শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও ঠিকমতো পানি খেলে চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। হজমশক্তিতেও সমস্যা দেখা যাবে না, প্রদাহজনিত সমস্যা কমে যাবে।

বডি ডিটক্সের জন্য কী খাবেন

সবুজ শাক-সবজি : এই ধরনের শাক-সবজি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপকরণ শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিন অর্থাৎ দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের যোগান দেয়। সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। অনেকসময় শাক জাতীয় সবুজ সবজি হজম করতে একটু অসুবিধা হতে পারে। তাই একবারে অনেকটা পরিমাণে শাক না খাওয়াই ভালো।

লেবু পানি: সামান্য গরম পানির মধ্যে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় হজমের সমস্যা দূর করে। শরীরের ভিতর থেকে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের করে আনে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই পানীয়। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে সেটাও দূর করে এই পানীয়।

হলুদ : অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকরণ থাকে হলুদের মধ্যে। হালকা গরম দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। এতে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হবে, হজমশক্তি ভালো থাকবে। কাঁচা হলুদ খেতে পারলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আদা : হজমক্ষমতা ভাল করার পাশাপাশি আদা আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। চায়ের সঙ্গে কিংবা গরম পানির মধ্যে আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালু রাখতেও আদা সাহায্য করে। এছাড়াও শীতের দিনে গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি ইত্যাদি কমাতেও আদার রস কাজে লাগে।

বিট : শীতের পরিচিত সবজি বিট। সবজি হিসেবে, কিংবা সালাদে বা রস করেও বিট খেতে পারে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং শরীরের সার্বিকভাবে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে বিট। ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে ভরপুর এই সবজি শরীরে আয়রনের মাত্রাও সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই সবজি শরীর থেকে দূর করে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ।

গ্রিন টি : বিপাকক্রিয়া বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তর থেকে টক্সিন বের করে আনাও গ্রিন টি- এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে গ্রিন টি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ: হানিফ

  সদরুল আইন: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ...