সর্বশেষ সংবাদ
Home / কৃষি / কটিয়াদীতে কাকরোল চাষ করে লাভবান কৃষক মাসুক

কটিয়াদীতে কাকরোল চাষ করে লাভবান কৃষক মাসুক

কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ কৃষিতে অসচ্ছল অনেক কৃষকের পরিবারে কাকরোল এনে দিয়েছে সচ্ছলতা। আর গ্রীষ্মকালীন সবজি কাকরোল, চিচিঙ্গা,শসা,করলা,চালকুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী উপজেলার কৃষকরা।

প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এবারও অন্যান্য শাকসবজির আবাদ কম হলেও কাকরোলের ফলন ভালো হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি চিচিঙ্গা বাজারে দামও মিলছে আশানুরূ। ধানসহ অনান্য ফসলে যখন লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখ দেখছেন তখনই হাইব্রিড জাতের কাকরোল চাষে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে কিশোরগঞ্জের উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা গ্রামের কৃষক মাসুক মিয়া। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহায়তায় উপজেলার কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সবজি কাকরোল চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন।

কৃষক মাসুক মিয়া জানান,অন্যান্য ফসল চাষ করে আমি খুব একটা লাভবান হতে পারিনি। ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে আমার। তাই আমি হাইব্রিড জাতের কাকরোল চাষ করছি। এখন একটু দাম কম হলেও এর আগে আরও ভাল দামে বিক্রি করতে পেরিছি। তাই আমি প্রতিবছরই এখন গ্রীষ্মকালীন সবজি কাকরোল পাশপাশি  অল্প পরিমান করে শসা,করলা, চালকুমড়া চাষ করছি।

তিনি আরো জানান, এবছর আমি আমার ৪৪ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে হাইব্রিড জাতের কাকরোল চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫ হাজারের মতো খরচ হয়েছে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। বাজারে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমি দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি হবে। বিশেষ করে চিচিঙ্গা চাষে প্রথমদিকে পাতা পচা রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। কিন্তু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং ফেকামারা বøকের উপ-সহকারি কর্মকর্তা সঠিক পরামর্শে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছি। চিচিঙ্গার পাশাপাশি করলা,চালকুমড়াও চাষ করেছি। এতেও যে টাকা বিক্রি হবে লাভবান হব।

আরেক চাষী জসিম উদ্দিন জানান,আমরাও মাসুকের এর চাষ দেখে এবং অন্য ফসলের তুলনায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ অধিক লাভজনক বিধায় আমি ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। জমি থেকেই পাইকারী ক্রেতারা চিচিঙ্গা কিনে নিয়ে যাচ্ছে ২৮-৩০ টাকা ধরে। প্রায় এক বিঘা জমিতে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। আমরা যদি সরকারিভাবে বা কৃষি অফিস থেকে যেকোর ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পেতাম তবে আর সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হতাম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে সর্বক্ষন জৈব প্রযুক্তিসহ সার,কীটনাশক প্রয়োগ করে কৃষকরা যাতে উপকৃত হতে পারে সে লক্ষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্চি। মাঠ পর্যায় ছাড়াও মোবাইল, এ্যাপসের মাধ্যমে চব্বিশ ঘন্টা সেবা দিচ্চি। চলতি বছর উপজেলায় গ্রীস্মকালীন শাক-সবজি চাষ হয়েছে কম খরচে লাভ বেশী হওয়াই এই এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে গ্রীস্মকালীন সবজি চাষ বাড়ছে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

বালু বিক্রিতে সৃষ্ট পুকুরে ফসলী জমি গ্রাস, ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ

মোঃ এমরুল ইসলাম – নরসিংদী প্রতিনিধি:: নরসিংদীর মনোহরদীতে বালু বিক্রিতে সৃষ্ট পুকুরের ...