সর্বশেষ সংবাদ
Home / তথ্য ও প্রযুক্তি / ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না, তা বুঝবেন যে ভাবে

ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না, তা বুঝবেন যে ভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিন পরিচিত-অপরিচিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারেন অনেকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহার কারীদের বোকা বানাতে ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস আক্রমণ করে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এসব ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস যন্ত্রে প্রবেশ করেই ব্যবহার কারীদের ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য সাইবার অপরাধীদের পাঠাতে থাকে। তাই ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে সেটি নিরাপদ কি না, তা জানা প্রয়োজন। ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না, তা যাচাই করার বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। কৌশল গুলো দেখে নেওয়া যাক।

ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম যাচাই
ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের ঠিকানা। ডটকম, ডটওআরজি প্রভৃতি এক্সটেনশন দিয়ে ডোমেইন নাম লেখা হয়। ডটকম মানে হলো প্রতিষ্ঠানটি কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক। আর ডটওআরজি মানে হলো, এটি একটি অর্গানাইজেশন বা সংস্থা। ভুয়া বা ক্ষতিকর ওয়েবসাইট গুলোয় সাধারণত পরিচিত ওয়েবসাইটের ঠিকানার আদলে নতুন ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়। খুব সূক্ষ্ম ভাবে পর্যবেক্ষণ না করলে নতুন ডোমেইনের নামের পার্থক্য বা অক্ষরের কম-বেশি চোখে পড়ে না। তাই ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না, তা জানার জন্য প্রথমেই সেটির ডোমেইনের নাম ও বানান যাচাই করতে হবে।

এইচটিটিপিএস নাকি এইচটিটিপি
এইচটিটিপির পূর্ণ রূপ হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল। আর এইচটিটিপিএসের পূর্ণ রূপ হলো হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল সিকিউর। ওয়েব ঠিকানার শুরুতে এইচটিটিপি বা এইচটিটিপিএস লেখা দেখা যায়। এইচটিটিপিএসে যেহেতু সিকিউর উল্লেখ করা রয়েছে, তাই বোঝা যায় এইচটিটিপিএস থাকলে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা নিরাপদ। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। তাই ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারের বাঁ কোনায় থাকা লক আইকন বা সাইট ইনফরমেশন অপশনে ক্লিক করে ওয়েবসাইটটি নিরাপদ কি না, তা দেখে নিতে হবে।

ভিন্ন ঠিকানার ওয়েবসাইটে চালু
ওয়েবসাইটে থাকা বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ক্লিক করলে যদি অন্য ওয়েবসাইট চালু হয় তবে বুঝতে হবে ওয়েবসাইটটি রিডাইরেকশন করা রয়েছে। এ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা সাধারণত ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত ওয়েবসাইট ব্যবহারে বাধ্য করে থাকে। তাই এক ঠিকানার বদলে অন্য ঠিকানার ওয়েবসাইট চালু হলে সেটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ওয়েবসাইটের পরিচিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ
বেশির ভাগ ওয়েবসাইটেই ‘অ্যাবাউট আস’ ও ‘কন্টাক্ট’ নামে অপশন থাকে। অপশন গুলোয় ওয়েবসাইটের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাশাপাশি যোগাযোগের জন্য ই-মেইল ঠিকানা বা ফোন নম্বরও পাওয়া যায়। যে সব ওয়েবসাইটে এসব তথ্য থাকে না, সে গুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

প্রবাসে কোথায় আছেন? পরিবারকে জানাবে ইমো

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : ‘শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং’ এই ধারণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্প্রতি ...