সর্বশেষ সংবাদ
Home / শিক্ষা / এসএসসি’র ফলাফল নিয়ে দুই কিন্ডার গার্ডেনের পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন

এসএসসি’র ফলাফল নিয়ে দুই কিন্ডার গার্ডেনের পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন

বিশেষ সংবাদদাতা :

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে নামধারী দুই কিন্ডার গার্ডেন রংধনু মডেল স্কুল ও সপ্তবর্ণ মডেল স্কুল এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। কিন্ডার গার্ডেন হয়েও রংধনু মডেল স্কুলের দাবি সপ্তবর্ণ মডেল স্কুল(কিন্ডার গার্ডেন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০০জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ১৮০ জন জিপিএ ৫ অর্জন করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তবে অবাক করার বিষয় হলো দুটি বিদ্যালয়েরই ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানোর কোন অনুমতি নেই। উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষদের ম্যনেজ করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করিয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কোচিং এর মাধ্যমে পাঠদান করে উক্ত বিদ্যালয়ের বোর্ড পরিক্ষার ফলাফল নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামে চলিয়ে আসছে বহুদিন যাবৎ।

গতবৃহস্পতিবার বিকালে পৌর সদরের দ্বারিয়ারপুরে অবস্থিত রংধনু মডেল স্কুলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শহিদুল ইসলাম শাহীন সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলের বিরুদ্ধে এ মিথ্যাচারের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ওই স্কুল থেকে এ বছর ২০০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেয়। ১১৫-১২০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রেডে ৭৫ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। আর ৫জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। তারা ওই ৫জন শিক্ষার্থীর ফেল করার বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন করে মিথ্যাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে তাদের স্কুলের সুনাম বৃদ্ধির হীন মতলবে তাদের স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশের দাবী করে অপপ্রচার করছেন। এছাড়া তাদের স্কুলের ১২০জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও তারা মিথ্যাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে ১৮০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন বলে অপপ্রচার করছেন। এতে এলাকার মানুষ ভিভ্রান্ত ও প্রতারিত হচ্ছে। সেই সাথে শাহজাদপুরের শিক্ষার মান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সপ্তবর্ণ মডেল স্কুল নামে কোন স্কুল তো উপজেলাতে নেই তাহলে কিভাবে জনবো তার এসএসসি’র ফলাফল এমন প্রশ্নের জব্বাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি।

এর প্রতিবাদে শুক্রবার(২৪ মে) সকালে অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর সদরের ভেরুয়াদাহে অবস্থিত সপ্তবর্ণ মডেল স্কুলে (কিন্ডার গার্ডেন) এর পরিচালক মঈন উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একসময় ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম, কিভাবে একটি অবধৈ কোচিং সেন্টার স্কুল হয় তা আমি এবং আমরা স্যারের(শহিদুল ইসলাম শাহীন) কাছ থেকে শিখেছি। তিনি ফলাফলগুলো নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকাশ করা অন্যায় ও আইনত অপরাধ এবং এমন কোন প্রতিষ্ঠানই লিখতে পারে না বলেও শিকার করেন তিনি। ফলাফলের বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের যেহেতু কোচিং সেন্টার তাই অনেক ছাত্র-ছাত্রী আমাদের এখনে দিনে ও সন্ধ্যাকালিন কোচিং করে, তাই অনেক শিক্ষার্থীর নাম আমাদের রেজিস্টার খাতায় নেই তিনি জানেন না। তাই হয়তো তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছেন।

এদিকে উপজেলাজুরে যত্রতত্র গড়ে উঠছে কিন্ডারগার্টেন। অর্থ বাণিজ্যই যেন এ সব স্কুলের মূল উদ্দেশ্য। শহরজুড়েই তাদের চটকদার বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। নানা কৌশলে বিভ্রান্ত ও লোভনীয় বিজ্ঞাপনসহ নানান কথা বলে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করে স্কুলে ভর্তি করান। তারাও শিকার করছে নানা অনিয়মের মধ্য দিয়েই চলছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে এগুলো দেখেও না দেখার ভ্যান করে আছে প্রশসান। এমনকি বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াতসহ তাদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠনেও যোগদিতে দেখা যায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছিল না:ঢাবি শিবির সেক্রেটারি

  স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছিল ...