ইউরো ও কোপা ফুটবলের ফাইলে এখন সারা বিশ্বের চোখ
ক্রীড়া প্রতিবেদক,বর্তমান দেশবাংলা:
ফুটবলপ্রেমীরা মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে দু-দুটি ফুটবল ফাইনাল দেখবেন। আজ দিবাগত রাত ১টায় জার্মানির ঐতিহাসিক বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন ও ইংল্যান্ড।
আগামীকাল ভোর ৬টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও তৃতীয়বার ফাইনাল খেলা কলম্বিয়া। মেসির আর্জেন্টিনা বিরল একটি রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে।
যদি আগামীকাল ভোরে চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে কোপার প্রথম দল হিসেবে কোপা আমেরিকা-বিশ্বকাপ-কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হবে। পারবে কি মেসির আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হতে? পারবে কি নতুন রেকর্ড গড়তে?
এর আগে ফুটবল বিশ্বে প্রথম দল হিসেবে এমন রেকর্ড গড়েছিল স্পেন। লা লোজারা ২০০৮ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০১০ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দুই বছর পর ২০১২ সালে ফের ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ডটি গড়েছিল।
আর্জেন্টিনা কোপায় সর্বাধিক ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন। অবশ্য উরুগুয়েও ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালের আজকের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০১ সালে। দলটি অবশ্য আরও একবার ফাইনাল খেলেছিল ১৯৭৫ সালে।
মেসির আর্জেন্টিনা যদি চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে রেকর্ড ১৬ বার শিরোপা জিতবে কোপার। ফাইনাল খেলতে মেসিরা সেমিফাইনালে ২-০ গোলে হারিয়েছেন কানাডাকে। মারামারি, কাটাকাটির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ১০ জনের কলম্বিয়া ১-০ গোলে হারায় উরুগুয়েকে।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে কানাডা-উরুগুয়ে। বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফাইনালে উঠতে স্পেন সেমিফাইনালে হারায় আরেক চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে।
পিছিয়ে পড়েও লামিন ইয়ামাল ও দানিম অলমোর গোলে জিতে যায়। ইংল্যান্ড জিতেছে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে। প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা পিছিয়ে পড়েও হ্যারি কেইন ও সংযুক্ত সময়ে অলি ওয়াটকিনসের গোলে ২-১ ব্যবধানে হারায় নেদারল্যান্ডসকে।
ইংল্যান্ড ফাইনাল খেলেছিল চার বছর আগে ২০২০ সালেও। ঘরের মাঠে ফাইনালে ইতালির কাছে হেরেছিল টাইব্রেকারে। স্পেন ইউরোর শিরোপা জিতেছে ১৯৬৪, ২০০৮ ও ২০১২ সালে।