প্রথমে প্রেম, তারপর পালিয়ে বিয়ে। যার প্রেক্ষিতে কনের পিতা বরের নামে করেন অপহরণ মামলা। সেই মামলায় কারাগারে যেতে হয় সেই যুবককে। সেখানে কেটে যায় তার দুই মাসের বেশি সময়।
অবশেষে মুক্তি মিলে তবে…ভালোবাসা দিবসে আদালতে বিয়ে হলো বর ও কনের। ঝিনাইদহের আদালত চত্বরের ক্যান্টিনে আইনজীবী, পুলিশ ও আদালতের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে মহেশপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী জেসমিন খাতুন আর গোপালপুর গ্রামের জুবায়ের হোসেনের। এ সময় বর পুলিশের হেফাজতে ছিলেন আর বাইরে অপেক্ষা করছিল কনের পরিবার।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের আদালত চত্ত্বরে। বিয়ের পর সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। জেসমিনকে অপহরণের দায়ে জুবায়েরের জামিন আবেদনে আদালতে এমন রায় দিয়েছেন।
আদালত জানায়, মহেশপুর উপজেলার জুকা গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে ওই গ্রামের স্কুলছাত্রী জেসমিন খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পার্শ্ববর্তী গোপালপুর গ্রামের যুবক জুবায়ের হোসেনের। কয়েক মাস তাদের মোবাইলে প্রেম চলে। বিষয়টি জানাজানি হলে তদের পরিবারের লোকেরা মেনে নেয় না। ফলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জেসমিনকে পালিয়ে বিয়ে করেন জুবায়ের। এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর জেসমিনের বাবা বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় জুবায়েরসহ আরও ৪ জনের নামে অপহরণ মামলা করলে গ্রেপ্তার হন জুবায়ের।
পরে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবার মীমাংসা করে বিয়েতে রাজি হয়ে বুধবার আদালতে জুবায়েরের জামিন আবেদন করেন। ঝিনাইদহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদৌলা শর্ত দেন ‘৫ লাখ টাকা কাবিনে জেসমিনকে বিয়ে করলে জুবায়ের জামিন দেওয়া হবে’। এই শর্তে রাজি হয়ে আদালতে বিয়ে হয় জুবায়ের ও জেসমিনের।
বর জুবায়ের হোসেন বলেন, ভালোবাসা দিবসে আমার প্রিয় মানুষটাকে পেয়েছি এতেই আমি খুব খুশি। ২ মাস জেল খাটার পর তাকে পেলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. ইশারত হোসেন খোকন বলেন, আদালতের নির্দেশে ৫ লাখ টাকা কাবিনে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে।